দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক নারী তৃণমূল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিছু কাজ হয়তো ছিল তাদের সামর্থ্যের বাইরেও। কিন্তু সমস্ত বৈষম্যের বাঁধা পেরিয়েও তারা এগিয়ে চলেছেন। দেশের প্রথম বেসরকারি খাতের এনবিএফআই আইপিডিসি এবং শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি পত্রিকা দি ডেইলি স্টার খুঁজছে সেই অজানা ও অদম্য নারীদের, যারা বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর সমাজে পরিবর্তন নিয়ে আসা নারীদের ‘আনসাং ওমেন নেশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হচ্ছে এবং বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করার জন্য জাতি গঠনে তাদের অসাধারণ যাত্রা তুলে ধরা হচ্ছে।
‘সত্যিকারের বীর তারাই, যারা কোনো প্রচারণা কিংবা সম্মাননার দাবি ছাড়াই জাতি গড়ার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। আইপিডিসি ও দ্য ডেইলি স্টার এই অসামান্য নারীদের জন্য দারুণ এক প্ল্যাটফর্মের আয়োজন করেছে, যার মাধ্যমে তাঁরা হতে পারেন জাতীয় আখ্যানের অংশ। সামনের দিনগুলোতে তাদের সংগ্রাম ও অর্জনগুলোও এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যথাযথভাবে প্রদর্শিত হতে থাকবে।‘
‘বাংলাদেশে নারীর পুরুষের মতো প্রতিটি ক্ষেত্রে সমানভাবে অবদান রাখছে। কিন্তু আমরা তাদেরকে চিনি খুবই কম, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের অবদান বেশিরভাগ সময়ই থেকে যায় আড়ালে। পুরস্কারজয়ী সাত নারীর সংগ্রাম ও অর্জনের গল্প অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে সবাইকেই। এমন সব গল্প আমাদের আরও বেশি খুঁজে বের করা উচিত এবং জাতির মাঝে ছড়িয়ে দেয়া উচিত।’
‘পুরস্কারপ্রাপ্ত সাতজনের উদাহরণ থেকেই দেখা যায়, নারীরা কীভাবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। আমি অবশ্যই এই অদম্য মানসিকতার মানুষগুলোকে স্বীকৃতি দেয়ার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তাদের গল্প অন্যদেরকেও একইভাবে কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাবে। একই সাথে এই উদ্যোগটি নারীদের অবদানকে খাটো করে দেখার চর্চাকে পরিবর্তন করতেও সাহায্য করবে।’
‘আমরা একটি ঐতিহাসিক ভুল সংশোধনের জন্য নারীদের স্বীকৃতি দিচ্ছি। আমরা এটা করছি সমাজে সমতা, সমৃদ্ধি ও ঐক্য বয়ে আনতে।’
‘আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে, যারা আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও সামাজিক বাঁধা পেরিয়েও মানুষের সেবা করা ও লক্ষ্য অর্জনের অদম্য মানসিক শক্তি দেখিয়েছে।’